সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সরকার কর্তৃক ১৬ জুলাই ২০২৫ -কে ‘শহিদ দিবস’ ঘোষণা

বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ গেজেট প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে ১৬ জুলাই ২০২৫ (বুধবার) দিনটিকে ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই দিনে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করা হবে।

Pbscopad 

গেজেটের মূল পয়েন্টসমূহ:

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৬ জুলাই সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হবে।


 বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও তাদের নিজ নিজ ধর্মমতে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।


দেশের বাইরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলোতেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


 এর ঐতিহাসিক ও সামাজিক তাৎপর্য

শহিদদের স্মরণে জাতি হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতা ও শ্রদ্ধাবোধের প্রতীক এই দিনটি। সরকারি এই ঘোষণা আমাদের জাতীয় চেতনার বিকাশ ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।


 করণীয় ও অংশগ্রহণ:

সরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা নিশ্চিত করতে হবে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে নির্ধারিত দোয়া বা প্রার্থনা আয়োজন করা উচিত।

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শহিদদের স্মরণে ইতিবাচক বার্তা প্রচার করা জরুরি।


শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে আমরা একটি মানবিক, ঐক্যবদ্ধ ও দেশপ্রেমিক জাতি গড়ে তুলতে পারি। সরকার ঘোষিত এই দিনটিকে যথাযথভাবে পালন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।


সূত্র: বাংলাদেশ গেজেট, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ১৫ জুলাই ২০২৫।








মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চুক্তিভিত্তিক/অস্থায়ী কর্মীদের জন্য সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারা:

  ধারা ২০(১)  রাষ্ট্র শ্রমকে মর্যাদা দেবে এবং উপযুক্ত পুরস্কার দানে নিশ্চিত করবে। এটি শ্রমের সম্মান, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার কথা বলে, যা অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।  ধারা ২৯(১)  প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ ও পদপ্রাপ্তি সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এটা চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী নিয়োগে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলে। ধারা ২৯(৩)  এখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করবে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে পারে (যেমন প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইত্যাদি)। প্রশাসনিক নীতিমালা ও নির্দেশনা: বাংলাদেশে চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের বিষয়ে মূলত বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিপত্র (office order/circular) অনুসরণ করা হয়: ১. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ): চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা” অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বা বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২. চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা ও সীমাবদ্ধতা: নির্ধারিত মেয়াদে (সা...

পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে নেই অগ্রগতি মাঠে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে অগ্রগতি নেই, মাঠ পর্যায়ে বাড়ছে অস্থিরতা। পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন (বাপবিএ)-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের লিখিত আশ্বাসের ভিত্তিতে চলমান আন্দোলন গত ৫ জুন ২০২৫ তারিখে স্থগিত করা হলেও গত দুই মাসে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ জুন দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছিল — একটি REB-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির জন্য এবং অন্যটি মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ ও অন্যায় বদলির বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৫ জন লাইনক্রুর বিষয়টি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত, বদলি ও সংযুক্তদের পদায়ন, চাক...

বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পুনঃপর্যালোচনায় সরকারের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা

 বর্তমান সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে করা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংক্রান্ত সব দেশি-বিদেশি চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ১৫ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্পে চুক্তি করা হয়েছে যেগুলোর শর্ত অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যপূর্ণ। এসব চুক্তি যাচাইয়ের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে এবং আমরা সেই অনুযায়ী আইনগত সহায়তা নিয়ে কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—বোরো ধান সবচেয়ে বেশি, এরপর আমন, এবং আউশ সবচেয়ে কম কেনা হয়।” এ সময় তিনি আরও জানান, আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধন করা হবে এবং এর নির্মাণ খরচ ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।