নিজস্ব প্রতিবেদক:
পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে অগ্রগতি নেই, মাঠ পর্যায়ে বাড়ছে অস্থিরতা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ জুন দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছিল — একটি REB-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির জন্য এবং অন্যটি মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ ও অন্যায় বদলির বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।
সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৫ জন লাইনক্রুর বিষয়টি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত, বদলি ও সংযুক্তদের পদায়ন, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, এবং হয়রানিমূলক বদলি আদেশগুলো স্থগিত না হওয়ায় প্রশাসনিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে।
আরইবি’র ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগ সিদ্ধান্ত দিলেও REB সমিতিগুলোতে মালামাল সরবরাহ বন্ধসহ বিভিন্ন উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় এক হাজার লাইনম্যান ও সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে এখনও পদায়ন করা হয়নি, যার ফলে কৃত্রিম জনবল সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও, অতিরিক্ত কাজের ওভারটাইম-ভাতা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা, বিভিন্ন নামে ৬ ধরনের অডিট পরিচালনা, এবং বিদ্যুৎ কর্মীদের হয়রানি — এসবই সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। বাপবিএ জানায়, চলতি মাসেই জনবল সংকট ও অনিয়মের কারণে ছয়জন বিদ্যুৎ কর্মী দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাবন্দি করার ঘটনাও পুনরায় আলোচনায় এসেছে।
বাপবিএ মনে করে, দীর্ঘদিনে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট না আসা এবং চলতি বছরের মে মাসে গঠিত নতুন দুটি কমিটির কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়া এ সংকটকে আরও গভীর করছে। তারা চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদী সমস্যাগুলোর সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনটি REB-এর ছয় ধরনের ‘মনগড়া’ অডিটিং কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করে কেবলমাত্র সরকার অনুমোদিত অডিট কার্যক্রম বজায় রাখার দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় মাঠ পর্যায়ে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলেও সতর্ক করেছে।
REBপবিসএকত্রীকরণ চাই।
উত্তরমুছুন