ধারা ২০(১)
রাষ্ট্র শ্রমকে মর্যাদা দেবে এবং উপযুক্ত পুরস্কার দানে নিশ্চিত করবে। এটি শ্রমের সম্মান, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার কথা বলে, যা অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ধারা ২৯(১)
প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ ও পদপ্রাপ্তি সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এটা চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী নিয়োগে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলে।
ধারা ২৯(৩)
এখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করবে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে পারে (যেমন প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইত্যাদি)।
প্রশাসনিক নীতিমালা ও নির্দেশনা:
বাংলাদেশে চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের বিষয়ে মূলত বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিপত্র (office order/circular) অনুসরণ করা হয়:
১. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ):
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা” অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বা বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
২. চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা ও সীমাবদ্ধতা:
নির্ধারিত মেয়াদে (সাধারণত ১-২ বছর) নিয়োগ দেওয়া হয়। নবায়ন নির্ভর করে কর্মদক্ষতা ও প্রয়োজনের উপর।
স্থায়ী পদের বিকল্প নয় — আদালত অনেক সময় বলেছে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ "প্রতারণামূলক স্থায়ী নিয়োগ" হিসেবে দেখা যেতে পারে।
৩. চুক্তিভিত্তিক বা দৈনিক ভিত্তিক কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণ:
সরকার কিছু সময়ে এককালীন সিদ্ধান্তে নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে অস্থায়ী/চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ীকরণ করেছে।
যেমন: ২০২০ সালের একটি সরকারি সিদ্ধান্তে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত অনেক অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করা হয়েছে।
বিচারব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গি (গুরুত্বপূর্ণ):
বাংলাদেশের আদালতসমূহ (বিশেষ করে হাইকোর্ট) অনেক রায়ে বলেছেন দীর্ঘদিন চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের মেধা, দক্ষতা ও প্রয়োজন বিবেচনায় স্থায়ী করার পক্ষে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মিত ও স্থায়ী পদে অস্থায়ী কর্মী দিয়ে বছরের পর বছর কাজ করানো সাংবিধানিকভাবে সঙ্গত নয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কল্যাণ পরিষদ
এডমিন প্যানেল।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for comments
PBSCOP Admin Panel