সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের জন্য সুসংবাদ: সিঙ্গেল নয়, এবার মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা।

 


মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য এসেছে এক বড় সুখবর। এতদিন মালয়েশিয়া সরকার ১৫টি দেশ থেকে কর্মী গ্রহণ করলেও কেবল বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য ছিল সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা (Single Entry Visa – SEV)। ফলে কর্মীদের দেশে যাওয়া-আসার সময় বারবার ভিসার জন্য আবেদন করতে হতো, যা ছিল সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল।


এই দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং লুৎফে সিদ্দিকী। তারা একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে সম্প্রতি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সমস্যাটি বিস্তারিত তুলে ধরলে, মন্ত্রী দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।


এরপর থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন। এর ফলস্বরূপ, অবশেষে ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের পক্ষে স্বাক্ষরিত একটি পত্রে ঘোষণা করা হয় যে—


মূল সিদ্ধান্তসমূহ:

১. সিঙ্গেল এন্ট্রি নয়, এখন থেকে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (MEV):

বাংলাদেশি কর্মীদের পূর্বের SEV সুবিধা বাতিল করে এখন থেকে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ইস্যু করা হবে।


2. পুনরায় আবেদন করতে হবে না:

যেসব কর্মীদের ইতোমধ্যে SEV ও PLKS (Temporary Employment Visit Pass) ইস্যু হয়েছে, তাদের নতুন করে MEV-এর জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই। PLKS নবায়নের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে MEV ইস্যু হবে।


3. বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে নির্দেশনা:

মালয়েশিয়ার সকল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বৈধ PLKSধারী বাংলাদেশি কর্মীরা নতুন MEV ছাড়াও দেশটিতে স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারবেন।


এই সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় কর্মরত লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিকের জন্য একটি স্বস্তির সংবাদ। এতে যেমন সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে, তেমনি কর্মীদের যাতায়াত সহজ হবে, যা মানসিক চাপও কমাবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চুক্তিভিত্তিক/অস্থায়ী কর্মীদের জন্য সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারা:

  ধারা ২০(১)  রাষ্ট্র শ্রমকে মর্যাদা দেবে এবং উপযুক্ত পুরস্কার দানে নিশ্চিত করবে। এটি শ্রমের সম্মান, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার কথা বলে, যা অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।  ধারা ২৯(১)  প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ ও পদপ্রাপ্তি সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এটা চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী নিয়োগে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলে। ধারা ২৯(৩)  এখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করবে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে পারে (যেমন প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইত্যাদি)। প্রশাসনিক নীতিমালা ও নির্দেশনা: বাংলাদেশে চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের বিষয়ে মূলত বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিপত্র (office order/circular) অনুসরণ করা হয়: ১. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ): চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা” অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বা বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২. চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা ও সীমাবদ্ধতা: নির্ধারিত মেয়াদে (সা...

পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে নেই অগ্রগতি মাঠে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে অগ্রগতি নেই, মাঠ পর্যায়ে বাড়ছে অস্থিরতা। পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন (বাপবিএ)-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের লিখিত আশ্বাসের ভিত্তিতে চলমান আন্দোলন গত ৫ জুন ২০২৫ তারিখে স্থগিত করা হলেও গত দুই মাসে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ জুন দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছিল — একটি REB-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির জন্য এবং অন্যটি মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ ও অন্যায় বদলির বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৫ জন লাইনক্রুর বিষয়টি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত, বদলি ও সংযুক্তদের পদায়ন, চাক...

বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পুনঃপর্যালোচনায় সরকারের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা

 বর্তমান সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে করা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংক্রান্ত সব দেশি-বিদেশি চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ১৫ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্পে চুক্তি করা হয়েছে যেগুলোর শর্ত অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যপূর্ণ। এসব চুক্তি যাচাইয়ের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে এবং আমরা সেই অনুযায়ী আইনগত সহায়তা নিয়ে কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—বোরো ধান সবচেয়ে বেশি, এরপর আমন, এবং আউশ সবচেয়ে কম কেনা হয়।” এ সময় তিনি আরও জানান, আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধন করা হবে এবং এর নির্মাণ খরচ ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।