সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোটগ্রহণ ৯ সেপ্টেম্বর

ডাকসুর নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স রুমে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


তফসিলের গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি:
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ: ৩০ জুলাই
আপত্তি গ্রহণের শেষ সময়: ৬ আগস্ট, বিকেল ৪টা
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: ১১ আগস্ট
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: ১২–১৮ আগস্ট
মনোনয়নপত্র জমা: ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা
মনোনয়ন যাচাই-বাছাই: ২০ আগস্ট
প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ: ২১ আগস্ট
মনোনয়ন প্রত্যাহার: ২৫ আগস্ট
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ: ২৬ আগস্ট
প্রচারণা শুরু: ২৮ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত
ভোটগ্রহণ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫


ভোটকেন্দ্র ও নিরাপত্তা:

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এবারের নির্বাচনে মোট ৬টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে হলভিত্তিক ভিড় এড়িয়ে নির্বিঘ্নভাবে ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়। শিক্ষার্থীদের ছাত্র আইডি কার্ড বা পে-স্লিপ ব্যতীত কোনোভাবেই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে সতর্ক অবস্থানে।”


প্রেক্ষাপট:

২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ছয় বছর পেরিয়ে আবারও ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, এবারের নির্বাচন আরও স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং গণতান্ত্রিক হবে।


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি:

নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে আবেদন ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানানো যাচ্ছে। যে কোনো ধরনের অনিয়ম রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে।”


সংবাদদাতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চুক্তিভিত্তিক/অস্থায়ী কর্মীদের জন্য সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারা:

  ধারা ২০(১)  রাষ্ট্র শ্রমকে মর্যাদা দেবে এবং উপযুক্ত পুরস্কার দানে নিশ্চিত করবে। এটি শ্রমের সম্মান, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার কথা বলে, যা অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।  ধারা ২৯(১)  প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ ও পদপ্রাপ্তি সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এটা চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী নিয়োগে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলে। ধারা ২৯(৩)  এখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করবে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে পারে (যেমন প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইত্যাদি)। প্রশাসনিক নীতিমালা ও নির্দেশনা: বাংলাদেশে চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের বিষয়ে মূলত বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিপত্র (office order/circular) অনুসরণ করা হয়: ১. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ): চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা” অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বা বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২. চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা ও সীমাবদ্ধতা: নির্ধারিত মেয়াদে (সা...

পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে নেই অগ্রগতি মাঠে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে অগ্রগতি নেই, মাঠ পর্যায়ে বাড়ছে অস্থিরতা। পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন (বাপবিএ)-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের লিখিত আশ্বাসের ভিত্তিতে চলমান আন্দোলন গত ৫ জুন ২০২৫ তারিখে স্থগিত করা হলেও গত দুই মাসে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ জুন দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছিল — একটি REB-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির জন্য এবং অন্যটি মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ ও অন্যায় বদলির বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৫ জন লাইনক্রুর বিষয়টি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত, বদলি ও সংযুক্তদের পদায়ন, চাক...

বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পুনঃপর্যালোচনায় সরকারের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা

 বর্তমান সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে করা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংক্রান্ত সব দেশি-বিদেশি চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ১৫ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্পে চুক্তি করা হয়েছে যেগুলোর শর্ত অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যপূর্ণ। এসব চুক্তি যাচাইয়ের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে এবং আমরা সেই অনুযায়ী আইনগত সহায়তা নিয়ে কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—বোরো ধান সবচেয়ে বেশি, এরপর আমন, এবং আউশ সবচেয়ে কম কেনা হয়।” এ সময় তিনি আরও জানান, আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধন করা হবে এবং এর নির্মাণ খরচ ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।