সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

লাইনম্যান ও ইলেকট্রিশিয়ানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে লাইনম্যান ও ইলেকট্রিশিয়ানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি 



লাইনম্যানদের প্রতি চরম বৈষম্য: ইলেকট্রিশিয়ানদের দেওয়া হলো ড্রেস ও আইডি, বঞ্চিত রইলেন পিবিএস কর্মীরা!

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সম্প্রতি সমিতির পক্ষ থেকে কিছু ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ানকে লাইনম্যানদের মতো হুবহু ড্রেস এবং আইডি কার্ড বিতরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।


সমিতির নিয়মিত কর্মীরা দাবি করছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্ধারিত ড্রেস, নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা পর্যাপ্ত আইডেন্টিটি কার্ড পাচ্ছেন না, অথচ বাইরের ইলেকট্রিশিয়ানদের এমন সুবিধা প্রদান করাকে ‘চরম বৈষম্য ও প্রহসন’ হিসেবে দেখছেন।


"ইলেকট্রিশিয়ানরা আমাদের শত্রু নয়, কিন্তু..."


ক্ষুব্ধ কর্মীরা বলছেন,

> "ইলেকট্রিশিয়ানরা আমাদের শত্রু নয়, কিন্তু তাদের নিয়ে নোংরা ষড়যন্ত্র আর খেলা আমরা মেনে নেব না। এটা শুধু আমাদের নয়, পুরো মাঠ পর্যায়ের লাইনম্যানদের সাথেও অন্যায়। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।"


অফিসে বিক্ষোভ ও স্লোগান

ঘটনার পরপরই বিপুল সংখ্যক লাইনম্যান ও কর্মচারী সমিতির সংশ্লিষ্ট অফিসে জড়ো হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার দাবি করেন। তারা একসাথে স্লোগান দেন এবং বৈষম্যমূলক আচরণের অবসান দাবি করেন।


প্রতিবাদকারীদের দাবি:

সকল লাইনম্যান ও মাঠকর্মীদের জন্য সমান ড্রেস এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে

বাহিরের ইলেকট্রিশিয়ানদের নাম ব্যবহার করে পিবিএসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা বন্ধ করতে হবে

মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মতামত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে


ঐক্যের ডাক:

সমিতির কর্মীরা একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,

> "ঐক্যবদ্ধ থাকুন। যেখানে অন্যায় হবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।"


 উল্লেখযোগ্য বিষয়: ঘটনাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। তবে কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন কিছু অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা।


 সূত্র: পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাঠকর্মীদের বিক্ষোভ ও সরাসরি অভিমত।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চুক্তিভিত্তিক/অস্থায়ী কর্মীদের জন্য সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারা:

  ধারা ২০(১)  রাষ্ট্র শ্রমকে মর্যাদা দেবে এবং উপযুক্ত পুরস্কার দানে নিশ্চিত করবে। এটি শ্রমের সম্মান, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার কথা বলে, যা অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।  ধারা ২৯(১)  প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ ও পদপ্রাপ্তি সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এটা চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী নিয়োগে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলে। ধারা ২৯(৩)  এখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করবে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে পারে (যেমন প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইত্যাদি)। প্রশাসনিক নীতিমালা ও নির্দেশনা: বাংলাদেশে চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের বিষয়ে মূলত বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিপত্র (office order/circular) অনুসরণ করা হয়: ১. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ): চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা” অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বা বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২. চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা ও সীমাবদ্ধতা: নির্ধারিত মেয়াদে (সা...

পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে নেই অগ্রগতি মাঠে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে অগ্রগতি নেই, মাঠ পর্যায়ে বাড়ছে অস্থিরতা। পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন (বাপবিএ)-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের লিখিত আশ্বাসের ভিত্তিতে চলমান আন্দোলন গত ৫ জুন ২০২৫ তারিখে স্থগিত করা হলেও গত দুই মাসে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ জুন দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছিল — একটি REB-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির জন্য এবং অন্যটি মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ ও অন্যায় বদলির বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৫ জন লাইনক্রুর বিষয়টি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত, বদলি ও সংযুক্তদের পদায়ন, চাক...

বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পুনঃপর্যালোচনায় সরকারের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা

 বর্তমান সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে করা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংক্রান্ত সব দেশি-বিদেশি চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ১৫ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্পে চুক্তি করা হয়েছে যেগুলোর শর্ত অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যপূর্ণ। এসব চুক্তি যাচাইয়ের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে এবং আমরা সেই অনুযায়ী আইনগত সহায়তা নিয়ে কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—বোরো ধান সবচেয়ে বেশি, এরপর আমন, এবং আউশ সবচেয়ে কম কেনা হয়।” এ সময় তিনি আরও জানান, আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধন করা হবে এবং এর নির্মাণ খরচ ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।