সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দেশের জনগণকে সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতি



গতকাল দুপুরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় দেশের মানুষ শোকাহত ও উদ্বিগ্ন। এমন অবস্থায় আজ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম।


 সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতি:

“প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা হয়, তবুও এই দুর্ঘটনা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। আমরা ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং খুব দ্রুত প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,” বলেন সেনা মুখপাত্র।


তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনায় যে বা যারা আহত হয়েছেন, তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়, সে বিষয়ে বিমানবাহিনীর নিরাপত্তা প্রটোকল পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।”


 বিমান দুর্ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে:

সূত্র অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়া F-7BG মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই যান্ত্রিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। পাইলট লেফটেন্যান্ট তৌকির সাহসিকতার সঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন যেন জনবহুল এলাকায় বড় ধরনের ক্ষতি না হয়। তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটি খালি মাঠে নামানোর চেষ্টা করেন।


 জনগণের প্রতি বার্তা:

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, “সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের পাশে ছিল, আছে, এবং থাকবে। এই দুর্ঘটনার সব দায়-দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি এবং স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। দয়া করে বিভ্রান্তিকর ও গুজবমূলক তথ্য থেকে বিরত থাকুন।”


 তদন্ত চলছে, রিপোর্ট শিগগির:

প্রাথমিক তদন্ত শেষে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। বিমানবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বিষয়টি তদারকি করছে।

সূত্র: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী সদর দপ্তর।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চুক্তিভিত্তিক/অস্থায়ী কর্মীদের জন্য সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারা:

  ধারা ২০(১)  রাষ্ট্র শ্রমকে মর্যাদা দেবে এবং উপযুক্ত পুরস্কার দানে নিশ্চিত করবে। এটি শ্রমের সম্মান, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার কথা বলে, যা অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।  ধারা ২৯(১)  প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ ও পদপ্রাপ্তি সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এটা চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী নিয়োগে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলে। ধারা ২৯(৩)  এখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করবে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে পারে (যেমন প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইত্যাদি)। প্রশাসনিক নীতিমালা ও নির্দেশনা: বাংলাদেশে চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের বিষয়ে মূলত বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিপত্র (office order/circular) অনুসরণ করা হয়: ১. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ): চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা” অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বা বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২. চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা ও সীমাবদ্ধতা: নির্ধারিত মেয়াদে (সা...

পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে নেই অগ্রগতি মাঠে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে অগ্রগতি নেই, মাঠ পর্যায়ে বাড়ছে অস্থিরতা। পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন (বাপবিএ)-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের লিখিত আশ্বাসের ভিত্তিতে চলমান আন্দোলন গত ৫ জুন ২০২৫ তারিখে স্থগিত করা হলেও গত দুই মাসে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ জুন দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছিল — একটি REB-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির জন্য এবং অন্যটি মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ ও অন্যায় বদলির বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৫ জন লাইনক্রুর বিষয়টি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত, বদলি ও সংযুক্তদের পদায়ন, চাক...

বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পুনঃপর্যালোচনায় সরকারের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা

 বর্তমান সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে করা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংক্রান্ত সব দেশি-বিদেশি চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ১৫ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্পে চুক্তি করা হয়েছে যেগুলোর শর্ত অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যপূর্ণ। এসব চুক্তি যাচাইয়ের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে এবং আমরা সেই অনুযায়ী আইনগত সহায়তা নিয়ে কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—বোরো ধান সবচেয়ে বেশি, এরপর আমন, এবং আউশ সবচেয়ে কম কেনা হয়।” এ সময় তিনি আরও জানান, আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধন করা হবে এবং এর নির্মাণ খরচ ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।