সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত।

ঢাকার উত্তরা–মাইলস্টোন কলেজ মাঠে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত।



সময় ও স্থান: আজ (২১ জুলাই ২০২৫) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে একটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর F‑7 BGI প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরা–মাইলস্টোন কলেজ মাঠে বিধ্বস্ত হয় ।


তোড়জোড় শুরু: দুর্ঘটনার খবর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে পৌঁছে যায় দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে, এবং তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ।


ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহত: প্রথম প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬–৭ জন দগ্ধ হয়েছে । তবে আরও আধিকারিক সূত্র থেকে চারজন আহত, এবং অন্তত একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে ।


পতনের ধরণ: দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে আগুন ধরেছিল, সরাসরি মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাস বা এর ক্যান্টিন/ছাদে আছড়ে পড়ে ।


উদ্ধার ও চিকিৎসা: আহতদের দ্রুত Combined Military Hospital‑এ (CMH) নিয়ে যাওয়া হয়েছে; স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিমান বাহিনী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ।


তদন্ত: বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ISPR) ও স্থানীয় প্রশাসন এখনই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে; দুর্ঘটনার ধরণ ও কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে ।



বিস্তারিত বিবরণ

 Bangladesh Air Force‑এর F‑7 BGI নাম্বারের প্রশিক্ষণ বিমান দুপুর ১টা ৬ মিনিটে ওড়ার পর কিছুক্ষণ পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে Diabari‑র মাইলস্টোন কলেজের মাঠের উপর নির্ঘাৎ বিধ্বস্ত হয় । স্থানীয়রা বিমানটির সঙ্গে খোঁড়াকলা সহ আগুন ধরার দৃশ্যও প্রত্যক্ষ করেছেন।


দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ।

অন্তত ৬–৭ জন দগ্ধ হওয়ার খবর প্রথমে পাওয়া যায় ।

পরবর্তীতে প্রোথম আলো প্রতিবেদনে একজনের মৃত্যুর এবং চারজন আহতের বিষয়টি নিশ্চিত হয় ।

 আহতদের Combined Military Hospital‑এ ভর্তি করা হয়েছে এবং তারা বর্তমানে দায়িত্বরত চিকিৎসকের অধীনে আছেন ।


ক্যাম্পাসে তখন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়া ও আগুনের শব্দে তারা আতঙ্কে নিরাপদ স্থান খুঁজতে দৌড়াচ্ছেন ।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী, Saadman Rhuhsin, জানিয়েছেন বিমানটি ক্যাম্পাস ভবন বা ক্যান্টিনে আঘাত করেছে ।


ISPR অভিযান ও তদন্ত শুরু করেছে। পাইলটের অবস্থা, বিমানের যান্ত্রিক অবস্থা ও ব্যর্থতা নিয়ে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান চলছে । প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুপারিশ দেয়া হতে পারে।


উত্তরায় এ প্রশিক্ষণ বিমানের বিধ্বস্ত একটি গভীর প্রতিবেদন দাবি করছে। যদিও প্রাথমিক খবর মারাত্মক, তবে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে ও তদন্ত শুরু করেছে। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চুক্তিভিত্তিক/অস্থায়ী কর্মীদের জন্য সংবিধানের প্রাসঙ্গিক ধারা:

  ধারা ২০(১)  রাষ্ট্র শ্রমকে মর্যাদা দেবে এবং উপযুক্ত পুরস্কার দানে নিশ্চিত করবে। এটি শ্রমের সম্মান, নিরাপত্তা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার কথা বলে, যা অস্থায়ী কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।  ধারা ২৯(১)  প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ ও পদপ্রাপ্তি সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এটা চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী নিয়োগে যোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলে। ধারা ২৯(৩)  এখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করবে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকতে পারে (যেমন প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইত্যাদি)। প্রশাসনিক নীতিমালা ও নির্দেশনা: বাংলাদেশে চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের বিষয়ে মূলত বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিপত্র (office order/circular) অনুসরণ করা হয়: ১. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ): চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা” অনুসারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বা বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ২. চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বৈধতা ও সীমাবদ্ধতা: নির্ধারিত মেয়াদে (সা...

পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে নেই অগ্রগতি মাঠে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারে অগ্রগতি নেই, মাঠ পর্যায়ে বাড়ছে অস্থিরতা। পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন (বাপবিএ)-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের লিখিত আশ্বাসের ভিত্তিতে চলমান আন্দোলন গত ৫ জুন ২০২৫ তারিখে স্থগিত করা হলেও গত দুই মাসে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ জুন দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছিল — একটি REB-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির জন্য এবং অন্যটি মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়মিতকরণ ও অন্যায় বদলির বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য। তবে বাস্তবে এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ৫ জন লাইনক্রুর বিষয়টি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত, বদলি ও সংযুক্তদের পদায়ন, চাক...

বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পুনঃপর্যালোচনায় সরকারের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা

 বর্তমান সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে করা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংক্রান্ত সব দেশি-বিদেশি চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ১৫ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্পে চুক্তি করা হয়েছে যেগুলোর শর্ত অনেক ক্ষেত্রেই বৈষম্যপূর্ণ। এসব চুক্তি যাচাইয়ের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে এবং আমরা সেই অনুযায়ী আইনগত সহায়তা নিয়ে কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে—বোরো ধান সবচেয়ে বেশি, এরপর আমন, এবং আউশ সবচেয়ে কম কেনা হয়।” এ সময় তিনি আরও জানান, আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধন করা হবে এবং এর নির্মাণ খরচ ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।